Friday, 28 February 2025

সেমিতে এক পা, আজ ইংলিশ বধ করলেই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন দ. আফ্রিকা

আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ‘বি’ গ্রুপের শেষ ম্যাচে আজ ইংল্যান্ডের মোকাবিলা করবে ইংল্যান্ড। প্রথম দুই ম্যাচ হেরে এরইমধ্যে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেছে ইংলিশরা। আর শেষ ম্যাচে পূর্ণ পয়েন্ট তুলে নিয়ে সেমিফাইনালের পথ সুসংহত করতে মরিয়া প্রোটিয়ারা। আজ জিতে গেলে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনালে উঠবে টেম্বা বাভুমার দল। শনিবার (১ মার্চ) করাচির ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে দু’দল। বাংলাদেশ সময় বিকেল তিনটায় শুরু হবে ম্যাচটি। সবশেষ ২০১৯ ওয়াডে বিশ্বকাপে জয়; এরপর ২০২৩ বিশ্বকাপে ব্যর্থ সঙ্গী হয়েছিল ইংল্যান্ডের। এরপর থেকেই যেন ৫০ ওভারের ম্যাচে নিজেদের কিছুতেই মেলে ধরতে পারছে না ইংলিশরা। যে ধারা অব্যাহত আছে এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেও। তবে টুর্নামেন্টে অন্তত একটি জয় নিয়ে বাড়ি ফিরতে মরিয়া জস বাটলারের দল। বাজবল তত্ত্বে টেস্টে ইংল্যান্ডকে বদলে দেয়া কোচ ব্র্যান্ডন ম্যাককালাম ব্যর্থ হয়েছেন তার পরিকল্পনায়। তাছাড়া মাঠের খেলায় নিজেদের সেরাটা দিতে পারেননি বাটলার-আর্চাররা। ২০০৪ ও ২০১৩ সালের আসরে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দৌঁড়ে খুব কাছে গেলেও শেষ মূহুর্তে স্বপ্ন ভঙ্গ হয় ইংল্যান্ডের। দুই ফরম্যাটের বিশ্বকাপ ঘরে তুললেও চ্যাম্পিয়নস ট্রফির জন্য অপেক্ষার প্রহরটা আরও লম্বা হচ্ছে ইংলিশদের। এদিকে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে সময়টা খুব একটা ভালো যায়নি দক্ষিণ আফ্রিকার। তবে আফগানিস্তানকে ১০৭ রানে উড়িয়ে দিয়ে দুর্দান্ত সূচনা করে প্রোটিয়ারা। অস্ট্রেলিয়ার সাথে পরের ম্যাচ অবশ্য পরিত্যক্ত হয় বৃষ্টির কারণে। ২ ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পরের রাউন্ড নিশ্চিতের ম্যাচে পূর্ণ পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়তে মরিয়া প্রোটিয়ারা। সে যাত্রায় হেনরিখ ক্লাসেন কিংবা রায়ান রিকেলটনের দিকে থাকবে বাড়তি নজর। পাশাপাশি বল হাতে প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের পরীক্ষা নিতে বল হাতে প্রস্তুত থাকবেন লুঙ্গি এনগিরি ও কাগিসো রাবাদা’রা। ১৯৯৮ সালে উইলস ইন্টারন্যাশনাল কাপে প্রথমবারের আয়োজনে চ্যাম্পিয়ন হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপর নাম বদলে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি হলে নিজেদের ভাগ্য আর পরিবর্তন করতে পারেনি প্রোটিয়ারা। উল্লেখ্য, বৈশ্বিক ট্রফি অর্জনে দক্ষিণ আফ্রিকার থেকে ইংল্যান্ড এগিয়ে থাকলেও সমীকরণের হিসেবটা কিন্তু ভিন্ন। পরিসংখ্যান বলছে ওয়ানডেতে দুই দলের মোট ৭০ বারের দেখায় প্রোটিয়াদের জয় ৩৪টিতে। আর ইংলিশদের ঝুলিতে জয় রয়েছে ৩০টি। ফলাফল আসেনি বাকি ৬ ম্যাচে।

শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.