Friday, 26 September 2025

রোমাঞ্চকর ম্যাচে সুপার ওভারে ভারতের লঙ্কা বধ

 

এশিয়া কাপে সুপার ফোর পর্বের শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে সুপার ওভারে হারিয়েছে ভারত। টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে অভিষেকের অর্ধশতকে ভর করে ২০২ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ পায় ভারত। জবাবে পাথুম নিসাঙ্কার শতকে নির্ধারিত ওভার শেষে ভারতের সমান রানেই শেষ হয় লঙ্কানদের ইনিংস। সুপার ওভারে খেলা গড়ালে সেখানে সহজ জয় পায় মেন ইন ব্লু’রা।

শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় দু’দল। ফাইনালের দুই দল আগেই নিশ্চিত হওয়ায় ম্যাচটি মূলত ‘ডেড রাবার’। যার ফলাফল আসরের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে কোনো প্রভাব না ফেললেও উপভোগ্য খেলা উপহার দিয়েছে দর্শকদের।

২০৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় শ্রীলঙ্কা। ব্যক্তিগত রানের খাতা না খুলতেই হার্দিকের বলে গিলের তালুবন্দি হয়ে মাঠ ছাড়েন ওপেনার কুশল মেন্ডিস। তার বিদায়ের পর পেরেরাকে নিয়ে জুটি গড়েন নিসাঙ্কা। দুজন মিলে দলীয় স্কোরবোর্ডে জমা করেন ১২৭ রান। ব্যক্তিগত ৫৮ রানে বরুণের বলে স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার হয়ে বিদায় নেন পেরেরা। তার ব্যাট থেকে আসে ৫৮ রান।

একপ্রান্ত আগলে লড়াই চালিয়ে যাওয়া নিসাঙ্কা তুলে নেন সেঞ্চুরি। ১০৭ রানে হর্ষিত রানার বলে বরুণের তালুবন্দি হয়ে বিদায় নেন তিনি।

শেষ দিকে দুই অপারিজত ব্যাটার দাসুন শানাকার ও জেনিথ লিয়ানাগের ব্যাটে ভর করে ২০২ রানে থামে শ্রীলঙ্কার ইনিংস।

এর আগে, টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই দেখেশুনে খেলতে থাকে ভারত। দলীয় ১৫ ও ব্যক্তিগত ৪ রানে মহেশ থেকশানার বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে বিদায় নেন ওপেনার শুভমান গিল।

অধিনায়ক সুরিয়াকুমারের ব্যাট থেকে আসে ১২ রান। হাসারাঙ্গার বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে বিদায় নেন তিনি। আসালাঙ্কার বলে মেন্ডিসের তালুবন্দি হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে অর্ধশতক তুলে নেন অভিষেক। ৬১ রানের দুর্দান্ত ইনিংসে ৮টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন তিনি।

সঞ্জু স্যামসন করেন ৩৯ রান। বাকিদের মধ্যে হার্দিক পান্ডিয়া ২ ও আক্সার প্যাটেল অপরাজিত থাকেন ২১ রানে। শেষ পর্যন্ত ২০২ রানে থামে ভারতীদের ইনিংস।

ম্যাচ টাই হওয়ায় সুপার ওভারে গড়ায় ম্যাচ। সেখানে মাত্র ২ রান তুলতেই ২ উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। জবাবে মাত্র ১ বল খেলেই লক্ষ্য পূরণ করে ম্যাচ জয়ের স্বাদ পায় ভারত।

আগামী রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) একই ভেন্যুতে আসরের মেগা ফাইনালে মুখোমুখি হবে ভারত ও পাকিস্তান।


শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.